
ডেস্ক ইনচার্জ, সব সময়।
যুগ যুগ ধরে অপেক্ষার শেষে কক্সবাজারের মহেশখালী জেটিতে সি ট্রাক সার্ভিস উদ্বোধন করলেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে আনুষ্ঠানিকভাবে সি–ট্রাক সার্ভিস চালু হয়েছে। ২৪ শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ককসবাজার প্রান্তে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে সি–ট্রাক সার্ভিসের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এরপর সি–ট্রাকে করে ককসবাজার থেকে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সহ বিপুল পরিমান যাত্রী নিয়ে ৪৫ মিনিট পর সি–ট্রাক সার্ভিসটি মহেশখালী জেটিতে পৌঁছায়।
এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে সি–ট্রাকে ছিলেন মহেশখালীর সন্তান লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
সি–ট্রাক মহেশখালী পৌঁছানোর পর সমবেত স্থানীয় জনতার উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন নৌ উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ ছাড়া অতিথি ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান মো. সলিমুল্লাহ, বিআইডব্লিউটিএ সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) মো. জিয়াউল ইসলাম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফ উদ্দিন শাহীন, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলাম তালুকদার ও বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার (কস্তুরাঘাট) নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে রাজনৈতিক মাফিয়া চক্রের হাতে মহেশখালী দ্বীপের বাসিন্দারা জিম্মি ছিলেন। ওই মাফিয়া চক্রের কারণে এই সেবা এত দিন চালু হয়নি। এখন থেকে দ্বীপের বাসিন্দারা নিরাপদে সি–ট্রাকে করে যাতায়াত করতে পারবেন। রাতেও যাতে দ্বীপের বাসিন্দারা সি–ট্রাকে করে যাতায়াত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়ত উল্লাহর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান কালে
উপদেষ্টা আরও বলেন, দ্বীপের জনসাধারণ যাতে কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটিঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন, তার জন্য ড্রেজিং করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মামলার কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ৬ নম্বর ঘাট ড্রেজিং করা হবে, যাতে দ্বীপের বাসিন্দারা সরাসরি কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। ভাড়া কমানোর বিষয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, প্রথমে সি–ট্রাকের ন্যূনতম ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দ্বীপের জনসাধারণের সুবিধার্থে সর্বনিম্ন ভাড়া মহেশখালী টু কক্সবাজারের সী-ট্রাকের ৩০- ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বীপের মানুষ কম খরচে এই নৌরুটে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবেন। এখন আপাতত একটি সি–ট্রাক যাতায়াত করবে। সামনে এই নৌরুটে আরও একটি সি–ট্রাক দেওয়া হবে।